চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া ইসলামিয়া আজিজুল উলূম বাবুনগরে হেফাজতে ইসলামের এক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতভর চলা এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আমির, বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন আল্লামা শাহ্ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী (দা.বা.)। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীলগণ।
এই বিশেষ বৈঠকে আসন্ন ৩ মে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশকে সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিস্তারিত আলোচনা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মহাসমাবেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে আগামী ২০ এপ্রিল রাজধানী ঢাকায় হেফাজতের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ তথা মজলিসে আমেলার এক বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে মহাসমাবেশ বাস্তবায়নসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত করা হবে।
বৈঠকে হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যক্রমকে আরও সুসংগঠিত ও কার্যকর করার প্রতি জোর দেন। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে হেফাজতের নেতাকর্মীদেরকে সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। বিশেষ করে আগামী ৩ মে’র মহাসমাবেশে দেশের প্রতিটি জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং কর্মীদের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তৎপর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব শায়েখ সাজিদুর রহমান, নায়েবে আমির মুফতি জসিম উদ্দীন, সালাহ উদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, আহমাদ আলী কাসেমী, মাওলানা আইয়ুব বাবুনগরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, আশরাফ আলী নিজামপুরী, ফজলুল করীম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, মুফতি হারুন ইজহার, নাসির উদ্দীন মনির, মীর ইদরিস, আতাউল্লাহ আমিন, মুফতি বশিরুল্লাহ, মনির হুসাইন কাসেমী, মুফতি জাবের কাসেমী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, ইলিয়াস হামিদী, রাশেদ বিন নূর, আফসার মাহমুদ, আলী আকবার কাসেমী, কামরুল ইসলাম, মোহাম্মদ বাবুনগরী, মাহমুদুল হুসাইন, ও নিজাম সাঈদ প্রমুখ।
এই বৈঠকের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকগণ আবারও প্রমাণ করলেন যে, তারা একটি ঐক্যবদ্ধ, সুসংগঠিত ও দায়িত্বশীল নেতৃত্বের অধীনে দেশের ইসলামী চিন্তা ও চেতনার প্রতিনিধিত্ব করতে প্রস্তুত। আগামী দিনের কর্মসূচি ও চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সকলে মিলিতভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।