‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি শেষ হয় একটি হৃদয়ছোঁয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। শনিবার বিকাল পৌনে ৪টায় শুরু হওয়া মোনাজাত শেষ হয় ৪টার দিকে, যেখানে দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব মুফতি আবদুল মালেক। ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানাতে লাখো মানুষ অংশ নেয় এই ব্যতিক্রমধর্মী কর্মসূচিতে।
এর আগে, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কর্মসূচির সূচনা হয়। এরপর জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে স্লোগান ও বক্তব্য দেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ ড. মিজানুর রহমান আজহারী। মুফতি রেজাউল করিম আবরারের সঞ্চালনায় আরও অনেকেই বক্তব্য রাখেন।
বিকাল সোয়া ৩টার দিকে আজহারী মাইকে উঠে জনতার উদ্দেশে বলেন, “আমার ভাই শহিদ কেন? জাতিসংঘ, জবাব চাই।” মুহূর্তেই স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। তিনি আরও বলেন, “ফিলিস্তিন, ফিলিস্তিন–জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ” এবং “আল কুদুস–জিন্দাবাদ”।
আজহারী তার বক্তব্যে বলেন, “এই জনস্রোত প্রমাণ করে, বাংলাদেশের প্রতিটি হৃদয়ে ফিলিস্তিনের একটি করে স্থান আছে।” তিনি আরও বলেন, “মার্চে অংশ নিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছি, কিন্তু আজ প্রমাণ হয়েছে–বাংলাদেশের মানুষ আল আকসা ও ফিলিস্তিনের পাশে আছে।”
এর আগের সকালে নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “আজকের ‘মার্চ ফর গাজা’ শুধুই একটি পদযাত্রা নয়, বরং এটি দক্ষিণ এশীয় মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের এক নতুন অধ্যায় রচনা করবে ইনশাআল্লাহ।”
অন্য একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে তিনি লেখেন, “গাজার নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আজ আমি ‘মার্চ ফর গাজা’-তে আছি। আপনারাও আসুন এই মানবতার মিছিলে।”
এই কর্মসূচিতে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, শিল্পী-সাহিত্যিক, কবি ও সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয় মুখরা অংশ নেন। দলমত নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে এবং ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক কণ্ঠে প্রতিবাদ জানান।