কনকাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে লস অ্যাঞ্জেলেস এফসির (এলএএফসি) বিপক্ষে ১-০ গোলের পরাজয় নিয়ে হতাশা নিয়েই ঘরে ফিরেছিল ইন্টার মিয়ামি। দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ ছিল লিওনেল মেসির দলের সামনে। তবে শুরুটা যেন আরও হতাশাজনক ছিল। ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই গোল হজম করে বসে ফ্লোরিডার ক্লাবটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে তারা। এই অবস্থায় সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন আরও দূরে সরে যাচ্ছিল।
কিন্তু মাঠে ছিলেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী মহাতারকা লিওনেল মেসি। যার উপস্থিতিই বদলে দিতে পারে যে কোনো ম্যাচের গতিপথ। ঠিক তাই করলেন তিনি। চাপের মুহূর্তে দলের হাল ধরলেন মেসি, উপহার দিলেন জোড়া গোল। তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যে ফিরে পেলো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ। শুধু গোল করেই থেমে যাননি, সতীর্থদের সাথে দুর্দান্ত সমন্বয়েও খেলেছেন মূল ভূমিকা। মেসির ঝলকে দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিয়ামি ৩-১ গোলে জয় তুলে নেয়।
দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ ব্যবধানে জয় পেয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে ডেভিড বেকহামের মালিকানাধীন ক্লাবটি। ম্যাচটি ছিল প্রত্যাবর্তনের এক দুর্দান্ত উদাহরণ। মেসির নেতৃত্বে এবং পারফরম্যান্সে ফুটে উঠেছে আত্মবিশ্বাস, প্রতিজ্ঞা ও শ্রেষ্ঠত্ব।
এ জয় শুধু একটি ম্যাচ জয়ের গল্প নয়, এটি হলো ঘুরে দাঁড়ানোর, অসম্ভবকে সম্ভব করার, এবং একজন কিংবদন্তির মঞ্চে ফিরে আসার গল্প। মেসির এমন পারফরম্যান্স আবারও প্রমাণ করলো, কেন তিনি ফুটবল ইতিহাসের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের একজন।