পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান এনগ্রো হোল্ডিংসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আব্দুল সামাদ দাউদ আজ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। সাক্ষাৎকালে দুই দেশের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও সহযোগিতা নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতিতে এনগ্রো হোল্ডিংসের সম্ভাব্য বিনিয়োগ, বিশেষ করে টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতে। আব্দুল সামাদ দাউদ বাংলাদেশের এই খাতগুলোতে তাদের আগ্রহের কথা জোরালোভাবে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। একইসঙ্গে ভোলার গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের শিল্পখাতে অবদান রাখার সুযোগও আমরা দেখছি।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভবিষ্যতে কোম্পানির কার্যক্রম প্রসারিত করে দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে আগ্রহী এনগ্রো।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এনগ্রোর এই আগ্রহকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, “আমরা এমন প্রকল্পে মনোযোগ দিতে চাই, যা দেশের মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলবে।” তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সমাজের সার্বিক কল্যাণ এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন লক্ষ্যে গৃহীত বিনিয়োগ উদ্যোগের প্রতি।
এনগ্রো সিইও বর্তমানে চলমান ‘বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫’-এ অংশ নিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি এই সম্মেলনের ব্যবস্থাপনা এবং অংশগ্রহণকারী কোম্পানিগুলোর বহুমাত্রিক উপস্থিতি সম্পর্কে প্রশংসা করে বলেন, “বিডা আয়োজিত এ সামিটে এক মানবিক ছোঁয়া ছিল। এটি আন্তরিক, স্বাগতপূর্ণ এবং উদ্দেশ্যমূলক এক আয়োজন। এক ছাদের নিচে এত শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিকে একত্রে দেখে আমি অভিভূত।”
সাক্ষাতের শেষে অধ্যাপক ইউনূস এনগ্রো হোল্ডিংসের নেতাকে বাংলাদেশে আবার আসার আমন্ত্রণ জানান এবং বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্ভাবনা যাচাই করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমি আপনাকে আবার বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। এই দেশ অনেক কিছু দিতে পারে— শুধু বিনিয়োগকারীদের জন্য নয়, বরং সমগ্র বিশ্বের জন্য।”
এই গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া। আলোচনাটি উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ও ফলপ্রসূ সম্পর্ক গড়ে তোলার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে।