মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য নতুন শুল্ক কার্যকরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পালটা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এক বিবৃতিতে জানান, ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে ইইউ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার একটি জানালা খুলে দিতে চায়।
ইইউর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, পালটা শুল্ক তিনটি ধাপে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। প্রথম ধাপে ১৫ এপ্রিল থেকে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যে শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা ছিল। এরপর ১৫ মে থেকে দ্বিতীয় ধাপে ১৪.৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এতে যুক্ত হতো। তৃতীয় ধাপে, ১ ডিসেম্বর থেকে আরও ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্যে শুল্ক আরোপ করার কথা ছিল।
এদিকে, স্থানীয় সময় বুধবার ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, সব দেশের ওপর শুল্ক আরোপে ৯০ দিনের বিরতি থাকবে। তবে চীনের ক্ষেত্রে তিনি শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশে উন্নীত করেছেন।
মাত্র এক দিন আগেও যা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছিল, ট্রাম্পের ঘোষণার মাধ্যমে সেটিই বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। তার দাবি, বিশ্বের ৭৫টিরও বেশি দেশ পালটা প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আলোচনায় বসেছে বলেই এই বিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সময়সীমায় কেবল ১০ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক কার্যকর থাকবে।
চীনের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, চীনের প্রতি বিশ্ববাজারে অসন্মানজনক আচরণের জবাবে যুক্তরাষ্ট্র এই কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, চীন চুক্তি করতে চায়, তবে কীভাবে করতে হবে, সেটা তারা এখনো বুঝে উঠতে পারেনি। তবে শিগগিরই তারা বুঝবে, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশকে প্রতারিত করে চলা আর সম্ভব নয়।
এই সিদ্ধান্তকে “অসাধারণ সাহসিকতার পরিচয়” বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তিনি জানান, বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছিল—যারা প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে আলোচনায় আসবে, তারা পুরস্কৃত হবে। যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের কথা শুনতে প্রস্তুত।