বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই ফ্রিল্যান্সারকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) গোয়েন্দা শাখার পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতে ধুনট, শেরপুর ও নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এসময় পুলিশের একটি ওয়াকিটকি ও নগদ ২ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—আরএমপির গোয়েন্দা শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মোহাম্মদ অনু ইসলাম এবং কনস্টেবল রিপন মিয়া, আবুল কালাম আজাদ, মাহবুব আলম, বাশির আলী, এবং মাইক্রোবাসচালক মেহেদী হাসান।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত পাঁচজন কোনো অনুমতি ছাড়াই ধুনট উপজেলায় আসেন এবং চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের দীঘলকান্দি গ্রামের দুই ফ্রিল্যান্সার রাব্বী ও জাহাঙ্গীরকে জুয়া খেলার অভিযোগে আটক করেন। এরপর শেরপুর উপজেলার মির্জাপুর এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাদের মুক্তির জন্য ১২ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে দর-কষাকষির মাধ্যমে নগদ ২ লাখ টাকা ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে বগুড়া জেলা পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চালায়। শেরপুর ও শাজাহানপুর থানা পুলিশের চেষ্টায় হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় শাজাহানপুরের বীরগ্রাম এলাকা থেকে অভিযুক্তদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়। এসময় তারা নিজেদের আরএমপির গোয়েন্দা সদস্য পরিচয় দিলেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তারা অনুমতি ছাড়াই বগুড়ায় এসেছিলেন।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার বাসিন্দা ও আরএমপির গোয়েন্দা শাখার কনস্টেবল ওয়াহাব ছুটিতে বাড়ি এসে তাদের তথ্য দেন, যার ভিত্তিতে অভিযুক্তরা ধুনটে আসেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শেরপুর-ধুনট সার্কেল) সজীব শাহরীন জানান, কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার পুলিশ রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে মহাসড়কের বীরগ্রাম এলাকা থেকে অভিযুক্তদের আটক করে ধুনট থানায় হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।