দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করে চলেছে। এরই অংশ হিসেবে গত ১৩ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদাতিক ডিভিশন ও স্বতন্ত্র ব্রিগেডের অধীনস্থ ইউনিটসমূহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযানের ফলাফল
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যৌথবাহিনীর অভিযানে মোট ২৮৯ জন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, একাধিক মামলার আসামি, ডাকাত, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী, দালাল চক্রের সদস্য, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী, কিশোর গ্যাং সদস্য এবং মাদক ব্যবসায়ীসহ মোট ২৪৯ জনকে হাতেনাতে আটক করা হয়।
উদ্ধারকৃত সামগ্রী
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ৬টি অবৈধ অস্ত্র, ১০২টি বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদ, ককটেল বোমা, মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্র, পাসপোর্ট, অবৈধ বৈদেশিক মুদ্রা, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), চোরাই মোবাইল ফোন, ট্যাব, ল্যাপটপ, সিমকার্ড ও নগদ অর্থ উদ্ধার করা হয়েছে।
আইনি ব্যবস্থা ও জনসচেতনতা
গ্রেপ্তারকৃতদের প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া, তৈরি পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ নিরসনে সেনাবাহিনী কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আইএসপিআরের সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানান, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি, সাধারণ জনগণকে সন্দেহজনক কোনো কার্যকলাপ সম্পর্কে নিকটস্থ সেনা ক্যাম্পে তথ্য দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
/আমারদেশ