নাটোরের গুরুদাসপুরে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে উপজেলার নাজিরপুর বাজারে এ সংঘর্ষ হয়, যেখানে দুই পক্ষের পাঁচজন আহত হন। আহতদের নাটোর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন নাজিরপুর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক সালেহ আহমেদ বিপুল (৪০), বিএনপি কর্মী হারুন (৩৬) ও জামাল হোসেন (৪৫) এবং জামায়াতের কর্মী সোহাগ আহমেদ (৩০) ও কামাল হোসেন (৩২)। এ ঘটনায় জামায়াত কর্মী সোহাগ আহমেদের বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যুবদল নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, তারা হামলার শঙ্কায় চিকিৎসা নিতে ভয় পাচ্ছেন। নাজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির হামিদুর রহমান সবুজ জানান, জামায়াতের ইফতার মাহফিল উপলক্ষে গণসংযোগ চালাচ্ছিলেন জামায়াতের কর্মী চিকিৎসক আব্দুর রহিম, সোহাগ আহমেদ ও কামাল হোসেন। এ সময় যুবদল নেতা সালেহ আহমেদ বিপুলের সঙ্গে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলেও কিছুক্ষণ পর বিপুল তার সমর্থকদের নিয়ে সোহাগ ও কামালের ওপর অতর্কিত হামলা চালান, যা সংঘর্ষে রূপ নেয়।
অন্যদিকে, সালেহ আহমেদ বিপুল জানান, তিনি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতি করেন এবং তার দোকানের কর্মচারীকে প্রতিবেশী চিকিৎসক আব্দুর রহিম প্রায়ই মারধর করতেন। এ নিয়ে আব্দুর রহিমের সঙ্গে কথা বললে তিনি হঠাৎ তার শার্টের কলার ধরে মারধর শুরু করেন। স্থানীয়রা এসে বিষয়টি মীমাংসা করলেও পরে জামায়াতের কর্মীরা বিপুলের ওপর হামলা চালায়।
গুরুদাসপুর থানার ওসি গোলাম সারওয়ার হোসেন জানান, একপক্ষ অভিযোগ দায়ের করেছে এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্তের পর দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।