গত ১০ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে কমপক্ষে ৩০৫ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন, আর আহত হয়েছেন অন্তত ২৮২ জন।
সোমবার (১০ মার্চ) মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য প্রকাশ করে।
সংগঠনটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরই সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালে ৪৩ জন নিহত হওয়ার পর ২০১৬ সালে এই সংখ্যা ২৮-এ নেমে এলেও ২০২০ সালে তা আবার বেড়ে ৫১ জনে পৌঁছায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতেও এই ধারা অব্যাহত রয়েছে—২০২৩ সালে ৩০ জন এবং ২০২৪ সালে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া, এ সময়কালে সংঘর্ষে ২৮২ জন বাংলাদেশি আহত হন।
শুধু ২০২৪ সালেই বিএসএফের হামলার ঘটনা ঘটে ৫৭টি, আর ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত ১৫টি হামলায় ৪ জন নিহত, ১০ জন আহত এবং ৫ জন গুলিবিদ্ধ হন। পাশাপাশি, সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় নাগরিক ও খাসিয়া জনগোষ্ঠীর হামলায় আরও ৩ বাংলাদেশি প্রাণ হারান।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সীমান্ত হত্যাকাণ্ড বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবে এ ধরনের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরএসএস।
সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। একই সঙ্গে, সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের নীতিগুলো মেনে চলার আহ্বান জানান।