অর্থাভাবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ভর্তির অনিশ্চয়তায় থাকা মেধাবী শিক্ষার্থী শান্ত বিশ্বাসের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশনায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর কর্মকর্তারা সোমবার (১০ মার্চ) শান্ত’র পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার ভর্তি ও পড়াশোনার জন্য প্রাথমিক অনুদান হস্তান্তর করেন।
শান্ত’র পরিবারকে জানানো হয়েছে, তারেক রহমান তার শিক্ষা-সংক্রান্ত সকল ব্যয় বহন করবেন। এই সহায়তা ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। উল্লেখ্য, বিএনপি’র সেবামূলক এই সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক তারেক রহমান এবং সংগঠনের আহ্বায়ক সাংবাদিক আতিকুর রহমান রুমন।
শান্ত’র পরিবারের পাশে বিএনপি
শান্ত’র পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রুমানা মাহমুদ, সিরাজগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ-সভাপতি জামিল হোসেন ও মিরপুর থানা বিএনপি নেতা শাকিল মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।
এই সময় আতিকুর রহমান রুমন বলেন,
“বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান আজকের একটি দৈনিক পত্রিকায় শান্ত বিশ্বাসের খবর দেখতে পান। তিনি সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শান্ত’র পরিবারের কাছে পাঠান, যাতে আমরা তার সঙ্গে দেখা করে তারেক রহমানের শুভকামনা পৌঁছে দিতে পারি। তিনি শান্ত’র ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন এবং তার পড়াশোনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছেন।”
অভাবের মধ্যেও মেধার স্বাক্ষর
সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া শান্ত বিশ্বাস কঠিন বাস্তবতার মধ্যেও তার মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার বাবা জয়কৃষ্ণ বিশ্বাস গ্রামে গ্রামে ঘুরে শিঙাড়া বিক্রি করেন, আর মা কল্পনা বিশ্বাস সুতা কেটে সামান্য আয় করেন। এই সীমিত আয়ে কোনোভাবে চলে তাদের সংসার।
অভাবের সঙ্গে লড়াই করেই শান্ত পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছেন এবং বুয়েট ও কুয়েট— উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে পরিবারের আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে তার ভর্তি ও পড়াশোনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন তার বাবা-মা।
শান্ত বিশ্বাস দুই ভাইবোনের মধ্যে বড়। তার ছোট বোন তৃষ্ণা বিশ্বাস স্থানীয় চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বিএনপি’র এই উদ্যোগের ফলে শান্ত’র উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের পথ সুগম হলো। তারেক রহমানের সহায়তায় তিনি এখন দেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন।