বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনে পবিত্র রমজানের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার রাজধানীর কাফরুল থানা দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রমজানের শিক্ষা ও তাৎপর্য
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, রমজান মাস হলো বরকতময় মাস। এ মাসেই মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাজিল হয়েছে, যা বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি। তাই রমজানের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে আত্মগঠন ও তাকওয়া অর্জনে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) পবিত্র মাহে রমজানের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করতেন। তিনি রজব মাস থেকেই দোয়া করতেন— “হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রজব ও শা’বান মাসের বরকত দান করো এবং মাহে রমজান পর্যন্ত জীবিত রাখো।”
রমজানের মর্যাদা সম্পর্কে তিনি বলেন, এ মাসে জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতের দরজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। মহান আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেছেন, “রোজা আমার জন্য, আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব।”
তাকওয়া অর্জনের আহ্বান
তিনি বলেন, রমজানের মূল শিক্ষা হলো আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জন। এই মাসে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করে নিজেদের পরিশুদ্ধ করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মাহে রমজানেই ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিজয়— বদর যুদ্ধ ও মক্কা বিজয় সংঘটিত হয়েছিল। তাই এ মাস শুধু সংযমের মাসই নয়, বরং ইসলামের বিজয়েরও মাস।
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বিশিষ্টজন
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন কাফরুল থানা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আনোয়ারুল করিম এবং সঞ্চালনা করেন থানা সেক্রেটারি আবু নাহিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মূসা এবং সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য শহিদুল্লাহ, শাহ আলম তুহিন, জসিম উদ্দিন, নাজমুল হাসান খানসহ আরও অনেকে।
ডা. শফিকুর রহমান সবাইকে মাহে রমজানের শিক্ষা বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করে ন্যায়, ইনসাফ ও কল্যাণমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।