গাজা-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ ১ মার্চ শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় ধাপের আলোচনার জন্য কাতারে প্রতিনিধিদল পাঠাবে ইসরাইল। শনিবার রাতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, আলোচনা এগিয়ে নিতে সোমবার ইসরাইলি প্রতিনিধিদল কাতারে যাবে।
এর আগে শনিবার কায়রোতে মিসরীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকের পরই নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে কাতারে আলোচনার ঘোষণা আসে। হামাসের মুখপাত্র আবদেল লতিফ আল-কানৌয়া একদিন আগেই জানান, দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শুরু করার বিষয়ে ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ ও দ্বিতীয় ধাপের চ্যালেঞ্জ
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে গাজায় আটক ২৫ জন জীবিত ইসরাইলি বন্দি মুক্তি দেওয়া হয়, পাশাপাশি ইসরাইলি কারাগার থেকে ১,৮০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে দ্বিতীয় ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও গাজা থেকে ইসরাইলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয়টি থাকায় ইসরাইল এই ধাপে যেতে আপত্তি জানিয়েছে। তারা প্রথম ধাপের মেয়াদ এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানোর পক্ষে।
হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতেই দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় আগাতে চায়। হামাসের মুখপাত্র আবদেল জানিয়েছেন, তাদের প্রতিনিধিদল আলোচনার শর্ত পূরণ এবং অবিলম্বে চুক্তির সব শর্ত বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সীমান্ত ক্রসিং খুলে দেওয়া এবং শর্তহীনভাবে গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া।
গাজা শাসনে নতুন কমিটি গঠনের আলোচনা
এদিকে, মিসরের জেনারেল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান হাসান মাহমুদ রাশাদের সঙ্গে হামাসের প্রতিনিধিদের বৈঠকের পর একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, হামাস গাজার প্রশাসনের জন্য ‘জাতীয় ও স্বাধীন’ চরিত্রের একটি কমিটি গঠনের অনুমোদন দিয়েছে।
এর আগে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বলেছিলেন, যুদ্ধ শেষ হলে গাজার শাসনের দায়িত্ব নিতে স্বাধীন ও পেশাদার ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা হবে, যা পরিচালনায় কায়রো সহায়তা দেবে।
গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ কেমন হবে এবং চুক্তির ভবিষ্যৎ কী, তা নির্ভর করছে চলমান আলোচনার ফলাফলের ওপর।