গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে দেশব্যাপী আলোচিত ছাত্রদের সদ্য প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), তাদের যাত্রা শুরু করেছে। তবে, দলের নিবন্ধন এখনও নির্বাচন কমিশনে (ইসি) দাখিল করা হয়নি।
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হলে এনসিপিকে নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত নিয়মাবলি অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ধারা-৯০ অনুযায়ী রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পাওয়ার প্রক্রিয়া এবং তা বাতিল করার শর্তাবলী রয়েছে। নিবন্ধনের জন্য দলটি কমিশনে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হবে, যার সঙ্গে চেয়ারম্যান এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে নির্দিষ্ট ফরমও দাখিল করতে হবে।
এছাড়া, নিবন্ধন ফি হিসেবে পাঁচ হাজার টাকা নির্বাচন কমিশনের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে, যা অ-ফেরতযোগ্য। দলটি তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে গঠনতন্ত্র, ইশতেহার, দলীয় লোগো ও পতাকার ছবি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দলিলাদি সংযুক্ত করতে হবে।
দলের নিবন্ধন প্রাপ্তির জন্য, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট প্রমাণাদি যেমন, দলীয় প্রতীকে একটি আসনে জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় দলের কার্যক্রমের সুনির্দিষ্ট তথ্য জমা দিতে হবে। রাজনৈতিক দলটির অবশ্যই একটি সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর, এক-তৃতীয়াংশ জেলা দপ্তর, এবং প্রতিটি উপজেলায় ২০০ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে।
বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৯টি। নির্বাচন কমিশন, ভোটাধিকার ব্যবস্থার উন্নতির জন্য নতুন প্রস্তাবনা তৈরি করেছে। এসব প্রস্তাব অনুযায়ী, দলটির নিবন্ধন পেতে হলে কমপক্ষে ৫,০০০ ভোটারের তালিকা এবং ৭টি জেলা ও ২৫টি উপজেলার কার্যকর দলীয় কার্যালয় থাকতে হবে।
এছাড়া, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নিয়মিত কাউন্সিল আয়োজন এবং কাউন্সিল প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আওতায় গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি দলীয় সদস্য হতে পারবেন না, এবং এ ধরনের কার্যক্রম অবলম্বন করলে দলটির নিবন্ধন বাতিল হতে পারে।