বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন আলোচনা চলছে। গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের সমন্বয়ে গঠিত এই দলটির গঠনকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে, এটি সরকারিভাবে সমর্থিত এবং পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে কি না। দলের প্রতিষ্ঠা এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু ঘটনা, যেমন প্রশাসনিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা, অনেককে সন্দেহ করতে উদ্বুদ্ধ করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দলের প্রতি বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন, যার মধ্যে অনেকেই এনসিপিকে “কিংস পার্টি” হিসেবে আখ্যায়িত করছেন।
এনসিপির নেতৃত্বে থাকা নাহিদ ইসলাম, যিনি আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন, দলের নেতৃত্বে আসার পর গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষিতে এই দলের প্রতিষ্ঠাকে দেখছেন। তার মতে, এটি একটি তরুণদের আন্দোলন এবং সরকারের কোনো বিশেষ সহায়তা ছাড়া গঠিত। তবে সমালোচকরা বলেন, দলের অনেক সদস্য এখনও সরকারের সঙ্গে যুক্ত, যা এনসিপিকে সরকার সমর্থিত দল হিসেবে চিহ্নিত করছে। বিএনপি, নাগরিক ঐক্য এবং গণঅধিকার পরিষদসহ অনেক রাজনৈতিক দলই এনসিপিকে সরকার সমর্থিত একটি দল হিসেবে দেখছেন।
গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে ছাত্রদের একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার ফলে এই দলটি দেশের রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে চায়। তবে তাদের সামনে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, বিশেষ করে সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি এবং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক শক্তির মোকাবিলা।
এনসিপি তাদের নিজস্ব আদর্শের ভিত্তিতে কাজ করতে চায়, যদিও তাদের সঙ্গে অন্যান্য দলের মতপার্থক্য স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সরকার থেকে দূরে থাকলে দলটির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। তবে দলের নেতারা আশাবাদী যে তারা জনগণের সমর্থন অর্জন করতে পারবেন এবং তাদের কাজের মাধ্যমে নিজেদের সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।