সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই যেন ভারতের ঘরের মাঠে পরিণত হয়েছে। পুরো টুর্নামেন্টেই একই ভেন্যুতে খেলেছে তারা, সেমিফাইনালসহ গ্রুপপর্বের সব ম্যাচও হয়েছে দুবাইতেই। আর এতেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ক্রিকেট বিশ্লেষক থেকে শুরু করে ভক্ত-সমর্থক— সবাই বলছেন এক কথা, স্বাগতিক না হয়েও ভারত পাচ্ছে স্বাগতিকের সুবিধা।
অন্যদিকে, নিউজিল্যান্ডের চিত্র ভিন্ন। করাচি-রাওয়ালপিন্ডি থেকে দুবাই, এরপর মধ্যপ্রাচ্য ঘুরে আবার করাচি হয়ে দুবাই— এই দীর্ঘ ভ্রমণের ধকল সামলাতে হয়েছে কিউইদের। সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়েছে তাদের। বিপরীতে, ভারত একই শহরে থেকে নির্বিঘ্নে খেলেছে পুরো টুর্নামেন্ট। আগামীকাল ফাইনালেও তারা খেলবে দুবাইতেই।
এই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে ভারতের ব্যাটিং কোচ সিতানশু কোটাককে। তবে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানালেন, এখানে কোনো বাড়তি সুবিধা নেই, সবই নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী হয়েছে। দুবাইয়ে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, “আমি তো বুঝতেই পারছি না, এখানে বাড়তি সুবিধার কী আছে এবং আমরা কোন সুবিধাটা পেলাম? সূচি তো আগেই চূড়ান্ত হয়েছে। ভারত যখন টানা চারটি ম্যাচ জিতেছে, তখনই লোকে এই অভিযোগ তুলছে।”
তবে ভারত একই স্টেডিয়ামে খেললেও প্রতিটি ম্যাচ হয়েছে আলাদা উইকেটে, এমনটাই যুক্তি দিলেন তিনি। “আমরা ফাইনালে পৌঁছেছি বলেই যদি এখন এসব অভিযোগ ওঠে, তাহলে বিষয়টা রুঢ়। সূচি অনুযায়ীই সব হয়েছে, এখানে বাড়তি সুবিধার কিছু নেই। ভালো খেললেই জিততে হয়।”
অজুহাত নয়, পারফরম্যান্সই আসল— এই বার্তাই দিতে চান সিতানশু। “দিনশেষে ভালো ক্রিকেট খেললেই জিততে হয়। কোনো দল ভালো খেলার পর বাড়তি সুবিধার কথা বলে লাভ নেই। হ্যাঁ, আমরা এখানে অনুশীলন করছি, ম্যাচ খেলছি। কিন্তু সব ম্যাচই তো আলাদা উইকেটে হয়েছে। সূচি যেমন ছিল, তেমনই আছে। আমরা আসার পর কন্ডিশন বদলে যায়নি।”
তবে সমালোচনা যাই হোক, ভারত এখন একদম শেষ ধাপে। ফাইনালেও দুবাইয়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে তারা। সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে রোহিত শর্মাদের জন্য একটাই পথ— মাঠে নেমে আরেকবার নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়া।