জাতীয় পার্টির (জাপা) ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত ইফতার মাহফিল উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের হট্টগোলে পণ্ড হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দলটির দাবি, কিছু যুবক স্লোগান দিয়ে ইফতারের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং রোজাদারদের হলরুম থেকে বের করে দেয়।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে পল্লবী থানার সংলগ্ন ২ নম্বর কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। জাতীয় পার্টির প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, বিকেল সাড়ে ৪টায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বক্তৃতা করার কথা ছিল।
দলের নেতা-কর্মীদের ভাষ্যমতে, যখন তারা ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে উপস্থিত হন, তখন ৩০-৪০ জন উচ্ছৃঙ্খল যুবক সেখানে এসে অশালীন স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে তারা ইফতার অনুষ্ঠানের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে এবং উপস্থিত রোজাদারদের গালাগাল দিয়ে হলরুম থেকে বের করে দেয়। ফলে ইফতার মাহফিল ভণ্ডুল হয়ে যায়, আর আগত অতিথিরা ফিরে যেতে বাধ্য হন।
জিএম কাদেরের ক্ষোভ ও নিন্দা
ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আমরা সক্রিয় ছিলাম এবং এই আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় পার্টির দুইজন নেতা শহীদ হয়েছেন। অনেকেই হামলা-মামলার শিকার হয়ে কারাবাসে ছিলেন। কিন্তু এখন আমাদের দলীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও অন্যায়।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “বিভিন্ন স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আটককৃতদের জামিন না দিয়ে কারাবন্দি রাখা হচ্ছে, যা চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। এসব হয়রানি মূলত আমাদের দলকে দমিয়ে রাখার একটি কৌশল।”
জিএম কাদের সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার অনেক আগেই নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সরকারের প্রত্যক্ষ সহায়তায় একটি নতুন রাজনৈতিক দল সৃষ্টি হয়েছে, যারা ক্ষমতার জন্য লড়াই করতে চাইবে। এমন পরিস্থিতিতে এই সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই স্বাভাবিক।”
জাতীয় পার্টির ইফতার মাহফিলে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ও হামলার ঘটনায় নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা দোষীদের চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।