চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি, অস্বচ্ছতা ও নীতিবহির্ভূত কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। শনিবার এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চায় যে, সংগঠনের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী যদি চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতি বা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংগঠনটি মনে করে, জুলাই পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে একটি নতুন রূপকল্পের ধারণা জন্ম নিয়েছে। মানুষ এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত দেখতে চায়, যেখানে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের কোনো জায়গা থাকবে না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, গণঅভ্যুত্থানের পরও কিছু বিপথগামী ব্যক্তি পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতির ধারায় থেকে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে সতর্ক করে বলছে, সংগঠনের ভেতরেও যদি কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়, তাকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। এসব অপকর্মে জড়িতদের সাংগঠনিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে এবং তাদের আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকার ও রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ সহায়তা দেওয়া হবে।
ভবিষ্যতে যারা সংগঠনের সঙ্গে রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে যুক্ত হতে চান, তাদের জন্যও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদি তাদের মধ্যে অনৈতিক আকাঙ্ক্ষা বা নিয়মবহির্ভূত প্রবণতা দেখা যায়, তবে তাদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ দৃঢ়ভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা জুলাইয়ের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গণমানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়। শিক্ষাঙ্গন ও সমাজে সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠাই তাদের লক্ষ্য। যারা এ পথে বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতিকে সুদৃঢ় করতে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ সমাজের অন্যান্য রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোকেও চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।