জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রি করে ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এই আদেশ দেন। এর আগে, দুপুরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাঁকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বুধবার গভীর রাতে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা থেকে এন এম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে সিআইডির সাইবার ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি দল তাঁকে নিয়ে ঢাকায় আসে।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১১ কোটিরও বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এনআইডির তথ্য অবৈধভাবে ফাঁস ও বিক্রি করেন। ডিজিকন নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই তথ্য দেশি-বিদেশি প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ ওঠে, যার মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
এনআইডির তথ্য বেআইনিভাবে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও জিয়াউল আলমসহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে এনআইডির তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি যমুনা টেলিভিশনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি-তে ‘জয়ের তথ্য বিক্রির ফরমুলা’ শিরোনামে একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রচারিত হয়। সেখানে দেখানো হয়, কীভাবে জাতীয় তথ্যভাণ্ডারে থাকা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধভাবে বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন করা হয়েছে।