পাবনা জেলা কারাগারে কয়েদিদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও মারামারির ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে পাঁচজন আসামিকে অন্য জেলায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) যাদের স্থানান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন—পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই, আসাদুজ্জামান সুইট ও আরও একজন। তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হামলা ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি।
পাবনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, কয়েকদিন ধরেই এসব আসামি কারাগারে থাকা অন্যান্য কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন। সর্বশেষ ৩ মার্চ বিকেলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে একপর্যায়ে শারীরিক সংঘর্ষেও লিপ্ত হন। এ কারণে তাদেরকে রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেল সুপার আরও জানান, কারাগারের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং অন্য কয়েদিদের নিরাপত্তার স্বার্থে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী কারাগারে এবং মোতাহার হোসেন মুতাইসহ অপর একজনকে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।