সৌদি আরবে রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে, আজ চাঁদ দেখা যাওয়ায় শনিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে।
এর আগে, সৌদি কর্তৃপক্ষ নাগরিকদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানায়। দেশজুড়ে বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখার তথ্য স্থানীয় আদালতে জমা দেওয়ার পর চাঁদ দেখা কমিটি এই সিদ্ধান্ত জানায়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রমজানের চাঁদ দেখার জন্য ধর্মীয় কমিটিগুলো একত্রিত হয়। ইতোমধ্যে আরও কয়েকটি দেশ রমজানের শুরুর তারিখ ঘোষণা করেছে।
রমজান ইসলামী ক্যালেন্ডারের নবম মাস, যা মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রায় এক-চতুর্থাংশ মুসলমান এই মাসে সংযম পালন করেন, আত্মশুদ্ধিতে মনোনিবেশ করেন, অধিক পরিমাণে নামাজ আদায় করেন এবং দান-খয়রাতে অংশ নেন।
রমজান মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সব ধরনের খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি হলো রোজা, যা একজন মুসলমানের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাকি চারটি স্তম্ভ হলো ঈমানের ঘোষণা, নামাজ, দান-খয়রাত (যাকাত) এবং হজ।
মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, রোজার মাধ্যমে তারা আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ পান। এ মাসে তারা নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত ও দান-খয়রাতে বিশেষভাবে সময় ব্যয় করেন।
রমজানের মূল শিক্ষার মধ্যে অন্যতম হলো সংযম চর্চা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং দরিদ্র ও অভাবীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া। সারাদিন না খেয়ে থাকার ফলে একজন মুসলমান ক্ষুধার্ত মানুষের কষ্ট অনুভব করতে পারেন এবং সমাজে আরও বেশি মানবিকতা ও সহমর্মিতা নিয়ে আসার অনুপ্রেরণা পান।