ইলন মাস্কের স্টারলিংক বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আমন্ত্রণ পেয়েছে, যার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে ইন্টারনেট শাটডাউন প্রতিরোধ করা। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানান।
তিনি উল্লেখ করেন যে, পূর্ববর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় বারবার ইন্টারনেট বন্ধের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমনের চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে, বিক্ষোভ ও বিরোধী মত দমনের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যা লক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার, বিপিও প্রতিষ্ঠান ও কল সেন্টারের কর্মীদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
স্টারলিংক একটি স্যাটেলাইটভিত্তিক উচ্চগতির ইন্টারনেট পরিষেবা, যার মালিক বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। বাংলাদেশে স্টারলিংকের প্রবেশের অর্থ হচ্ছে, ভবিষ্যতে কোনো সরকার ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না। ফলে দেশের ফ্রিল্যান্সার ও আইটি খাতের কর্মীরা নিরাপদ থাকবেন এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবে না।
১৩ ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ভিডিও কলে ইলন মাস্কের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই আলোচনায় স্টারলিংকের সম্ভাব্য কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং জাতীয় উন্নয়নে এই পরিষেবার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
প্রফেসর ইউনূস ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান, যাতে স্টারলিংক প্রকল্পের বাস্তবায়ন দ্রুত সম্ভব হয়। এ বিষয়ে মাস্ক ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, “আমি এর অপেক্ষায় আছি।”
স্টারলিংকের আগমন বাংলাদেশের ডিজিটাল কানেক্টিভিটিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে, যা ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতকে আরও এগিয়ে নেবে।