বাংলাদেশের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ: জয় ছাড়া বিকল্প নেই
বাংলাদেশের সামনে এবার কঠিন এক চ্যালেঞ্জ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেলেই টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সুযোগ, আর হার মানেই বিদায়। রাওয়ালপিন্ডিতে সোমবারের ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য কার্যত নকআউট পর্বের রূপ নিয়েছে।
রোববার পর্যন্ত বাংলাদেশের সামনে দুটি সম্ভাবনা ছিল। তবে দুবাইয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের পর হিসাবটা বদলে গেছে। এখন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ই একমাত্র পথ, অন্যথায় এক ম্যাচ হাতে রেখেই বিদায় নিতে হবে।♥
শক্তির বিচারে নিউ জিল্যান্ড অনেক এগিয়ে। দলটি বেশ কিছুদিন ধরে পাকিস্তানে খেলছে এবং কন্ডিশনের সঙ্গে ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে খেলতে নামবে, যা বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
নিউ জিল্যান্ডের সাম্প্রতিক ফর্মও ভয়ঙ্কর। পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রা শুরু করেছে তারা। এর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানকেও হারিয়েছে দাপটের সঙ্গে। সব মিলিয়ে তাদের আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা স্বাভাবিক।
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক দিক হতে পারে রাওয়ালপিন্ডিতে অতীত সাফল্য। গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠেই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে জয় পেয়েছিল তারা। সেই স্মৃতি এবার দলকে অনুপ্রাণিত করতে পারে বলে আশা করছেন কোচ ফিল সিমন্স।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং নিয়ে ভুগেছে বাংলাদেশ। ৩৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর কোনো দলই ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায় না। তাই ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন আসতে পারে। ফিট হলে মাহমুদউল্লাহ একাদশে ফিরতে পারেন, যিনি টানা চার ম্যাচে ফিফটি করেছেন। তবে তার অন্তর্ভুক্তির জন্য কাকে বাদ দেওয়া হবে, সেটি নিয়ে আছে দোটানা।
বোলিংয়েও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। তরুণ পেসার নাহিদ রানাকে একাদশে ফেরানো হতে পারে, যিনি ছয় মাস আগে এই মাঠেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন।
নিউ জিল্যান্ড অবশ্য বাংলাদেশকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার ম্যাচের আগে বাংলাদেশের ব্যাটিং ও বোলিং শক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। বিশেষ করে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলি, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজদের পারফরম্যান্সের বিষয়ে সতর্ক তারা।
সোমবারের ম্যাচে যদি বাংলাদেশ জিতে, তাহলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে পারবে। অন্যথায়, বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে যাবে। এখন দেখার বিষয়, শান্তর নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে প্রতিকূল পরিস্থিতি সামাল দেয়।