২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ইউক্রেইনে পূর্ণমাত্রায় সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। দেখতে দেখতে এই যুদ্ধ তিন বছর পূর্ণ হলো। এই সময়ে ইউক্রেইনের ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ রাশিয়ার দখলে চলে গেছে, লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
তিন বছর পেরিয়ে এলেও যুদ্ধের অবসান এখনো অধরা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে সৌদি আরবে মার্কিন ও রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে শান্তি আলোচনার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, তবে কিয়েভের কোনো প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না, যা ইউক্রেইন ও ইউরোপীয় মিত্রদের বিস্মিত করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার’ এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগ্রাসনের পর ইউক্রেইন প্রায় ১১ শতাংশ ভূখণ্ড হারিয়েছে।
প্রথমদিকে ভ্লাদিমির পুতিন ধারণা করেছিলেন, কয়েক দিনের মধ্যেই ইউক্রেইনকে পুরোপুরি দখল করা সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তবে যুদ্ধ তিন বছর পেরিয়ে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতে পরিণত হয়েছে।
গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনকে সবচেয়ে বেশি সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৯৫ বিলিয়ন ডলার। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির কারণে এই সহায়তা হুমকির মুখে পড়েছে।
রাশিয়ার হামলার কারণে লাখ লাখ ইউক্রেইনীয় তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
এই যুদ্ধ শুধু ভূখণ্ড বা রাজনীতির হিসাব বদলায়নি, বহু নিরীহ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ইউক্রেইন যুদ্ধের কোনো নির্দিষ্ট সমাপ্তি এখনও দৃশ্যমান নয়। একদিকে রাজনৈতিক আলোচনার প্রচেষ্টা চলছে, অন্যদিকে যুদ্ধের ময়দানে প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে। এই সংঘাত কবে এবং কীভাবে শেষ হবে, তা সময়ই বলে দেবে।