বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিস গলির একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। তিনি সেখানে তার আপন ছোট ভাই ওহেদুজ্জামান কনকের বাসায় অবস্থান করছিলেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে নুরুজ্জামান আহমেদকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানায় মুন্না হত্যা মামলা ও রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার দুটি মামলাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় জড়িত ছিলেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নুরুজ্জামান আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে ছিলেন। তবে আত্মগোপনে থাকার কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সূত্রে তথ্য পেয়ে পুলিশ সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় অভিযান চালায় এবং তাকে আটক করে। এ সময় বাড়ির আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং তার সম্ভাব্য পালানোর পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোতে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপর হামলা, হত্যার পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগে তার নাম উঠে আসে। মুন্না হত্যা মামলায় তিনি সরাসরি জড়িত ছিলেন বলে তদন্ত কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। যাত্রাবাড়ী থানার মামলাগুলোতেও তার সম্পৃক্ততার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, নুরুজ্জামান আহমেদের গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে রংপুরের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। তার দলীয় অনুসারীরা এ গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। অন্যদিকে, আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই গ্রেপ্তার ন্যায়বিচারের পথ উন্মুক্ত করবে এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করবে।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নুরুজ্জামান আহমেদকে আদালতে হাজির করা হবে এবং তার বিরুদ্ধে থাকা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।