বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জামায়াত বাংলাদেশে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করছে। তিনি জানান, ২০২৫ সাল বাংলাদেশের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি এবং ইকামতে দ্বীনের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে জামায়াতের প্রতিটি নেতাকর্মীকে আরও আন্তরিক ও নিবেদিতপ্রাণ হতে হবে। তা না হলে নতুন কোনো নৈরাজ্য দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করবে।
তিনি বলেন, “২০২৫ সাল আমাদের জন্য সিদ্ধান্তের বছর। আমরা এগিয়ে যাবো নাকি পিছিয়ে থাকবো, তা নির্ভর করবে আমাদের বর্তমান প্রস্তুতি ও পরিশ্রমের ওপর। জাতি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার আশায়। তাই আমাদের আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্বশীল হতে হবে।”
২৪ জানুয়ারি, শুক্রবার শরীয়তপুরের ডামুড্যা হামিদিয়া কামিল মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত জামায়াতে ইসলামীর জেলা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শরীয়তপুর জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সভায় অংশ নেন বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। সভায় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নেতৃত্বের মূল বিষয়গুলো তুলে ধরে কর্মীদের নৈতিকতা, নিষ্ঠা ও সমাজকল্যাণে অবদান রাখার গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা। আমাদের কাজ শুধু রাজনৈতিক নয়, এটি সামাজিক এবং নৈতিক আন্দোলন। আমরা এমন একটি রাষ্ট্র গড়তে চাই, যেখানে ন্যায়বিচার, শান্তি, এবং সবার জন্য কল্যাণ নিশ্চিত হবে। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য ব্যক্তিগত উন্নয়ন ও দলের সামগ্রিক অগ্রগতি একত্রে কাজ করতে হবে।”
সভায় তিনি জাতিকে বিভ্রান্তি ও অস্থিরতা থেকে দূরে রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “নতুন কোনো নৈরাজ্য আমাদের সমাজকে আবারও পিছিয়ে দিতে পারে। তাই প্রতিটি কর্মীকে সতর্ক থাকতে হবে এবং নিজেদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিটি সদস্যের অংশগ্রহণ ও পরিশ্রম অপরিহার্য। আত্মশুদ্ধি এবং সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে আমরা জাতিকে একটি উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। এই পরিবর্তন শুধু জামায়াতের জন্য নয়, বরং পুরো জাতির জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।”
সভায় স্থানীয় নেতারা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে কর্মীদের সুশৃঙ্খল উপস্থিতি ও দলীয় ঐক্যের বার্তা উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।