দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই দুর্দান্ত পারফর্মেন্স করে টাইগাররা পাকিস্তানকে ২৭৪ রানে অলআউট করেছে। মেহেদী হাসান মিরাজের পাঁচ উইকেট শিকারের মাধ্যমে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ে। মিরাজের এই অসাধারণ বোলিংয়ের পাশাপাশি তাসকিন আহমেদ তিন উইকেট শিকার করেন, যা বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে বড় ধরনের সাফল্য এনে দেয়।
দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। ইনিংসের প্রথম ওভারেই আব্দুল্লাহ শাফিককে বোল্ড করে টেস্ট দলে ফেরা তাসকিন আহমেদ টাইগারদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। এরপর অধিনায়ক শান মাসুদ ও ওপেনার সাইম আইয়ুবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান প্রথম সেশনে ভালোভাবেই এগিয়ে যায়। তারা ৯৯ রানের জুটি গড়ে মধ্যাহ্নভোজে যায়।
মধ্যাহ্নভোজের পর বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ায়। মেহেদী হাসান মিরাজ প্রথমেই শান মাসুদকে ৫৭ রানে আউট করেন এবং পরবর্তী ওভারে সাইম আইয়ুবকে আউট করে জোড়া উইকেট শিকার করেন। এরপর তাসকিনের বলেও শাকিল আউট হলে পাকিস্তান চাপে পড়ে যায়।
বাবর আজম এবং রিজওয়ান পাকিস্তানকে চাপ থেকে বের করার চেষ্টা করলেও তেমন সফল হতে পারেননি। বাবর ৩১ রানে সাকিব আল হাসানের বলে আউট হন এবং রিজওয়ান নাহিদ রানার বলে ২০ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন। এ পর্যায়ে পাকিস্তান ২১১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায়।
দিনের শেষ দিকে আঘা সালমানের ফিফটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও অন্য প্রান্ত থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় পাকিস্তানের ইনিংস দীর্ঘ হয়নি। তাসকিনের বলে সালমান ৫৪ রান করে আউট হন। মিরাজ আবরার আহমেদকে আউট করে তার পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন। মিরাজের অসাধারণ বোলিং এবং তাসকিনের কার্যকর ভূমিকা পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে গুটিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের হয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ৫ উইকেট শিকার করে বোলিংয়ের নেতৃত্ব দেন, তাসকিন নেন ৩ উইকেট। সাকিব আল হাসান ও নাহিদ রানা একটি করে উইকেট শিকার করে পাকিস্তানের ইনিংস গুটিয়ে দিতে সহায়তা করেন।