ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ল টাইগাররা

প্রশাসন 62 বার পঠিত
সময় : রবিবার, মার্চ ১২, ২০২৩

ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে যে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হারলেও। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত করল টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের পর সাজঘরে ফিরলেন আফিফ হোসেনও। শেষ ৮ রানে ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। মিরাজ, সাকিবের পর ফেরেন আফিফ। তাদের বিদায়ে ৯৭ থেকে ১০৫ রানে ৩ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর ব্যাটিংও দারুণ শুরু করেছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। কিন্তু ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি এই তারকা অলরাউন্ডার। জোফরা আর্চারের বলে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৬ বলে ২০ রান করেন মিরাজ।

আগের ওভারে আদিল রশিদকে দুই চার মারলেও মাঝে পানি পানের বিরতিতে যেন ছন্দপতন হলো তৌহিদ হৃদয়ের।

ইংলিশ লেগ স্পিনার রেহান আহমেদের করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের শর্ট বলে খোঁচা দিতে গিয়ে নিজের বিপদ নিজেই ঢেকে আনেন হৃদয়।

পয়েন্টে ফিল্ডিং করা ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরার আগে ১৮ বলে দুই বাউন্ডারিতে ১৭ রান করেন হৃদয়। তাকে আউট করার মধ্য দিয়ে আন্তর্জতিক টি-টোয়েন্টিতে নিজের প্রথম ওভারেই উইকেটের সাফল্য পেলেন রেহান।

তৌহিদ হৃদের বিদায়ে ১০.৩ ওভারে ৫৬ রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

ইংল্যান্ডের মতো শক্তিশালী দলকে ১১৭ রানে অলআউট করে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করেছে টাইগাররা। ১১৮ রান করলেই সিরিজ নিশ্চিত।

এমন সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমেও সুবিধা করতে পারেননি দুই ওপেনার লিটন দাস ও রনি তালুকদার। লিটন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পুরোপুরি ব্যর্থ। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের ৭ ,০, ০ রানে আউট হন এই তারকা ওপেনার। তিন ম্যাচের

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলায় লিটন আউট হন ১২ রানে। আজ সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ১১৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন আউট হন ৯ বলে ৯ রান করে। তার বিদায়ে ২.৩ ওভারে ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

লিটন আউট হওয়ার পর ফেরেন রনি তালুকদারও। ২০১৫ সালের পর গত ম্যাচে সুযোগ পেয়ে রনি করেন ২১ রান। আজ ক্যারিয়ারের তৃতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে রনি আউট হলেন ১৪ বলে ৯ রানে। তার বিদায়ে ৫.১ ওভারে ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।

রোববার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রোববার বিকেল ৩টায় খেলাটি শুরু হয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মেহেদি হাসান মিরাজের অফ স্পিনে কুপোকাত ইংলিশরা।

২০ ওভারে ১১৭ রানেই অলআউট ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ দলের হয়ে মিরাজ ৪ ওভারে মাত্র ১২ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন। তার শিকার হয়ে একের পর এক সাজঘরে ফেরেন মঈন আলী, স্যাম কারেন, ক্রিস ওকস ও ক্রিস জর্ডান।

একটি করে উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

এদিন শুরুতেই সাফল্য পান পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে হাসান মাহমুদের ক্যাচে পরিণত হন ডেভিড মালান। তিনি ৮ বলে ৫ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ২.২ ওভারে ১৬ রানে ভাঙেন ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি।

এক উইকেটে ৫০ রান করে ভালো পজিশনেই ছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংলিশরা।

সাকিব আল হাসান, হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ একের পর এক তুলে নেন ফিল সল্ট, জস বাটলার ও মঈন আলীকে।

তাসকিনের পর ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব। তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ইংল্যান্ডের আরেক ওপেনার ফিল সল্ট। তিনি ১৯ বলে ২৫ রানে ফেরেন। তার বিদায়ে ৬.৩ ওভারে ৫০ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

এরপর ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ। তার বলটি বুঝতেই পারেননি ইংল্যান্ড অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তার বিদায়ে ৭.৬ ওভারে ৫৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় সফরকারীরা।

ইংল্যান্ডের তারকা অলরাউন্ডার মঈন আলীকে সাজঘরে ফেরান মেহেদি হাসান মিরাজ। তার বলে বদলি খেলোয়াড় শামিম হোসেনের হাতে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে দেওয়ার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করার সুযোগ পান মঈন। তার বিদায়ে ৮.৬ ওভারে ৫৭ রানে ৪ চতুর্থ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

মিরাজের দ্বিতীয় শিকার স্যাম কারেন। তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখে লাইন পরিবর্তন করেন মিরাজ, শেষ মুহূর্তে আর নিজের অবস্থান ঠিক করতে পারেননি কারেন। খেলার চেষ্টা করেছিলেন, তবে ব্যাটে-বলে হয়নি। কারেন হয়েছেন স্টাম্পড।

ঠিক এক বল পরেই কারেনের মতো স্টাম্পড হন ক্রিস ওকসও। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেন তিনি। তারা বিদায়ে ২ বলের মধ্যে স্টাম্পড দুজন ইংলিশ ব্যাটসম্যান।

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর