অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রোববার প্রকাশিত মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আগের ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ৪১ জন নিহত এবং ৬১ জন আহত হয়েছেন। এ নিয়ে গত ১৭ মাসে গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০,০২১ জনে, আর আহত হয়েছেন ১,১৩,২৭৪ জন।
হামলায় নিহত হামাস নেতা সালাহ আল-বারদাওইল
রোববার গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন। ভোরে খান ইউনুসে চালানো এক বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সালাহ আল-বারদাওইল নিহত হন। একই হামলায় তার স্ত্রীও প্রাণ হারান।
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ফজরের নামাজরত অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনী বরদাওইলকে হত্যা করে। সংগঠনটি আরও বলে, এটি গাজার জনগণের বিরুদ্ধে চলমান নিষ্ঠুর গণহত্যার অংশ।
> “তার রক্ত আমাদের মুক্তি ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে জ্বালানি হয়ে থাকবে। অপরাধী শত্রুরা কখনো আমাদের সংকল্প ও মনোবল ভাঙতে পারবে না।”
২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন সালাহ আল-বারদাওইল। ২০২১ সাল থেকে তিনি হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
নতুন দফায় ইসরাইলি আগ্রাসন
গত মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। এতে এখন পর্যন্ত ৬৩৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এর আগে, ১৯ জানুয়ারি থেকে ৪২ দিনের জন্য একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী, পরবর্তী ধাপে ইসরাইলি সেনাদের পুরোপুরি গাজা থেকে সরে যাওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করে। ১ মার্চের পর থেকে তারা গাজায় নতুন করে অবরোধ আরোপ করে, যার ফলে অঞ্চলটিতে সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।