পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জেরে এক কিশোর তার বন্ধুকে হত্যা করে। ২০২১ সালের এই ঘটনায় পিরোজপুরের একটি আদালত বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) অভিযুক্ত কিশোর আবির হোসেন হাওলাদারকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেন।
আবির (১৭), নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা কালাম হাওলাদারের ছেলে। পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ এবং শিশু আদালতের বিচারক মো. আসাদুল্লাহ দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ ধারায় তাকে ১০ বছর এবং ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি, ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী যশোরের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত শান্ত হাওলাদার (১৪) মাঝি বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্র ছিল এবং তার একটি স্মার্টফোন ছিল, যা দিয়ে সে বন্ধুদের সঙ্গে ফ্রি ফায়ার গেম খেলত। কিন্তু আবিরের নিজস্ব ফোন না থাকায় সে শান্তর ফোনটি ধার চাইলে শান্ত দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে তাদের মধ্যে এক মাস আগে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
প্রতিশোধ নিতে ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আবির এক কৌশলে শান্তকে বাড়ির পাশে একটি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তার ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে শান্তকে নালায় ফেলে পানির নিচে চেপে ধরে হত্যা করে এবং মরদেহ লুকানোর চেষ্টা করে।
পরিবারের সদস্যরা শান্তকে খুঁজতে থাকলে, পরদিন দুপুরে স্বজনরা নালায় তার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে শান্তর বাবা লোকমান হাওলাদার ভান্ডারিয়া থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে চার মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় এবং বিচার শেষে আদালত আবিরকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।