দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।
বুধবার (তারিখ) এক বিবৃতিতে ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম বলেন, “যায়যায়দিন-এর ডিক্লারেশন বাতিলের মাধ্যমে গণমাধ্যমের দুশমনরা বিগত ফ্যাসিস্ট শাসকদের পথ অনুসরণ করছে। ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্বাধীন গণমাধ্যমের কণ্ঠ রোধ করতে চাচ্ছে।”
ডিইউজে নেতারা আরও বলেন, “আমরা সবসময় সংবাদপত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নেওয়া যেকোনো পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। সংবাদপত্র বন্ধ বা প্রকাশনায় বাধা দেওয়ার মতো নিষ্ঠুর তৎপরতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।”
বিবৃতিতে বলা হয়, “সরকারপ্রধান ও উপদেষ্টারা একদিকে বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পত্রিকা বন্ধ করবে না বা গণমাধ্যমের ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করবে না। অথচ বিশেষ মহলকে সন্তুষ্ট করতে রমজান মাসে ঈদের প্রাক্কালে যায়যায়দিন-এর ডিক্লারেশন বাতিল করা হয়েছে। এটি কয়েকশ সাংবাদিক ও কর্মচারীর জীবন-জীবিকাকে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকারের এই অমানবিক কর্মকাণ্ড ফ্যাসিবাদী নীতিকেও হার মানিয়েছে।”
ডিইউজে জানায়, যায়যায়দিন পত্রিকার প্রধান কার্যালয় বেদখল হওয়ার পর জেলা প্রশাসনকে অবহিত করে প্রেস পরিবর্তন করা হয় এবং যথারীতি পত্রিকার প্রকাশনা অব্যাহত রাখা হয়। এ নিয়ে উচ্চ আদালতে আবেদন করলে আদালত তিন মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু জেলা প্রশাসন সেই নির্দেশ অমান্য করে ডিক্লারেশন বাতিল করেছে, যা চরম ধৃষ্টতার পরিচায়ক।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন অবিলম্বে যায়যায়দিন পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, যদি এই আদেশ প্রত্যাহার না করা হয়, তাহলে সাংবাদিক সমাজ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।