যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইংরেজিকে দেশটির সরকারি তথা দাফতরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করেছেন। স্থানীয় সময় শনিবার এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন তিনি। রোববার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, “ইংরেজিকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হলে তা শুধু যোগাযোগ সহজ করবে না, বরং অভিন্ন জাতীয় মূল্যবোধকে শক্তিশালী করবে। এটি আরও সুসংহত ও দক্ষ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে।”
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, “নতুন আমেরিকানদের জন্য আমাদের জাতীয় ভাষা শেখা ও গ্রহণের নীতি যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। ইংরেজি ভাষা শেখার সুযোগ নতুন নাগরিকদের ক্ষমতায়ন করবে এবং আমেরিকান স্বপ্ন অর্জনে সহায়তা করবে।”
ইংরেজিকে সরকারি ভাষা ঘোষণার প্রেক্ষাপট
ইংরেজিকে সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘ইউএস ইংলিশ’ নামের একটি সংগঠন। তাদের হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৩০টিরও বেশি অঙ্গরাজ্য ইতোমধ্যে আইনিভাবে ইংরেজিকে অফিসিয়াল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে।
এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইট থেকে স্প্যানিশ সংস্করণ সরিয়ে ফেলেছিলেন। পরে ২০২১ সালে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব গ্রহণের পর সেটি পুনরায় চালু করা হয়। তবে এবার ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই আবারও স্প্যানিশ সংস্করণ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ভাষাগত বৈচিত্র্য ও যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন সেন্সাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশটির ৩৪ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ইংরেজি ছাড়া অন্য ভাষায় কথা বলেন। এর মধ্যে ১৬০টিরও বেশি নেটিভ আমেরিকান ভাষা রয়েছে।
চীনা ও ভিয়েতনামি ভাষাভাষী অভিবাসী গোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশটির ভাষাগত বৈচিত্র্যের মধ্যে বহু আদিবাসী ভাষাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে নতুন নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে ইংরেজিকে দাফতরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ অভিবাসীদের জন্য কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।