মাদারীপুর-শরীয়তপুর জেলার সীমান্তবর্তী খোয়াজপুর-টেকেরহাট বন্দরে ডাকাতির সময় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ডাকাত দলের ছোড়া গুলিতে সাধারণ মানুষ আহত হলে, স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতদের প্রতিরোধ করে। পালানোর সময় ৭ জন ডাকাতকে আটক করা হয় এবং পরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আহত ডাকাতদের হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় এবং রাত ১১টার দিকে শরীয়তপুরের ডোমসার ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল, কিন্তু স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দিলে তারা এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে মাদারীপুরের সাতজন ও শরীয়তপুরের দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে রয়েছেন:
তাদের উদ্ধার করে মাদারীপুর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক পাঁচজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ আলামিন ফকির জানান,
“হঠাৎ দেখি ডাকাতরা স্পিডবোটে এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে। আমার শরীরে গুলি লাগে, এরপর কী হয়েছে কিছু জানি না, জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলাম।”
জেলা পুলিশ সুপার মো. নজরুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শরীয়তপুরের তেঁতুলিয়া এলাকায় জনতার রোষানলে পড়ে ডাকাত দল। বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আহত ডাকাতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মুনতাসির খান জানান,
“ডাকাত দলের আহত সাতজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন, বাকিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।”
এই ডাকাতির ঘটনায় স্থানীয়দের প্রতিরোধ ও সংঘবদ্ধ প্রতিক্রিয়া নজিরবিহীন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।