দীর্ঘ সাত বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিএনপির বহুল প্রতীক্ষিত বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল সংলগ্ন মাঠে আয়োজিত এই সভাকে ঘিরে দলের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাজনৈতিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় উজ্জীবিত বিএনপি এবার নির্বাচনী প্রস্তুতির পথে এগিয়ে যেতে চায়।
সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এই সভায় উপস্থিত থাকবেন দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, মহানগর ও জেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ প্রায় ৪ হাজার প্রতিনিধি। এছাড়া থানা, উপজেলা ও পৌর কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা এই সভায় অংশ নেবেন।
লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সভাপতিত্ব করবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভার উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্যে তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেবেন, শুনবেন তৃণমূলের মতামত এবং দলীয় পরিকল্পনার দিকনির্দেশনা দেবেন।
বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, এই সভায় মূলত চারটি বিষয় গুরুত্ব পাবে—
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে ইতোমধ্যে সভাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন, ভবিষ্যৎ কৌশল ও বিভিন্ন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
সভার শুরুতে ‘প্রথম বাংলাদেশ, আমাদের শেষ বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হবে, যা তৈরি করেছে ‘বর্ধিত সভা বাস্তবায়ন মিডিয়া উপকমিটি’। এছাড়া, ‘আস্থা’ নামে একটি বিশেষ ম্যাগাজিনও প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে বিএনপি সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা আয়োজন করেছিল, যেখানে সভাপতিত্ব করেন বেগম খালেদা জিয়া। সেই সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান।
তৎকালীন রাজনৈতিক দমন-পীড়নের কারণে নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন নেমে এসেছিল। এবার বিএনপি সম্পূর্ণ নতুন এক প্রেক্ষাপটে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর অর্জিত রাজনৈতিক অবস্থান থেকে আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে চায়।
সভাকে সুশৃঙ্খল ও সফল করতে ছয়টি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে—
এই বর্ধিত সভাকে বিএনপির ভবিষ্যৎ রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সভার মাধ্যমে দল আগামী নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করবে এবং তারেক রহমান নতুন রাজনৈতিক বার্তা দেবেন। এখন দেখার বিষয়, এই সভা থেকে ঘোষিত দিকনির্দেশনা আগামী দিনে বিএনপির আন্দোলন ও নির্বাচনী কৌশলে কীভাবে প্রভাব ফেলে।