যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরও পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) তেহরানে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন ইরানের জাতীয় তেল সংস্থার প্রধানসহ বিক্রয় ও পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০টিরও বেশি জাহাজ ও কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় আব্বাস আরাগচি সাফ জানিয়ে দেন, যুক্তরাষ্ট্রের চাপ প্রয়োগের নীতি যতদিন চলবে, ততদিন কোনো আলোচনা হবে না।
তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক নীতির অবস্থান স্পষ্ট— হুমকি, নিষেধাজ্ঞা বা চাপে আমরা আলোচনায় বসব না।
ট্রাম্প প্রশাসন এ বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। তবে মার্কিন অর্থ বিভাগ ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে যে, দেশটি তেল বিক্রি ও পরিবহনের জন্য একটি গোপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছে।
অন্যদিকে, ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির তেল রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনতেই যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।
২০১৫ সালে ইরান ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি করেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন এবং ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এর জবাবে তেহরান চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বাড়াতে থাকে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, তবে কোনো পক্ষই আপাতত আলোচনায় বসতে আগ্রহী নয় বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র :রয়টার্স