অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করেছেন। তাঁর সিদ্ধান্তের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হলো জনতার কাতারে দাঁড়িয়ে নতুন রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে কাজ করা।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নাহিদ ইসলাম বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনে ছাত্র-জনতার যে ভূমিকা ছিল, সেই শক্তিকে আরও সংহত করতেই আমি রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি মনে করেন, সরকারের ভেতরে থাকার চেয়ে বাইরে থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া তাঁর জন্য বেশি কার্যকর হবে।
সরকারের ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে থাকা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মাহফুজ আলম পদত্যাগ করবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত নয়। এ প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, তাঁরা মনে করছেন যে, সরকারে থেকেই জনগণের জন্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চাইলে হয়তো তাঁরাও সরকার ছাড়তে পারেন।
নাহিদ ইসলাম জানান, গত ছয় মাস তিনি তাঁর মন্ত্রণালয়গুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সংস্কার ও ন্যায়বিচারের লক্ষ্যে কাজ করার চেষ্টা করেছেন। যদিও এই স্বল্প সময়ের মধ্যে সবকিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি, তবে জনগণ শিগগিরই কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন দেখতে পাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাঁর জায়গায় কে দায়িত্ব নেবেন, সেটি উপদেষ্টা পরিষদ ঠিক করবে। তবে তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন, বর্তমানে সরকারের বাইরে থেকে গণঅভ্যুত্থানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নাহিদ ইসলাম নিশ্চিত করেন যে, একটি নতুন রাজনৈতিক শক্তি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে এবং তিনি তাতে যুক্ত হবেন। জনগণের সঙ্গে মিশে তাদের ঐক্যবদ্ধ করা ও আন্দোলনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করাই তাঁর লক্ষ্য। তাই সরকার থেকে পদত্যাগ করে নতুন রাজনৈতিক দলে সক্রিয় ভূমিকা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
নাহিদ ইসলামের এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী পরিবর্তন আনতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।