জুলাই গণহত্যা: রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন ও বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুকে “জুলাই গণহত্যার সহায়তাকারী” এবং “বিভিন্ন অন্যায়ের অনুমোদনকারী কুশীলব” আখ্যা দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা না জানাতে আহ্বান জানায়। তবে তাদের আহ্বান উপেক্ষা করে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু।
দোয়েল চত্বরে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় দোয়েল চত্বর এলাকায় বিপ্লবী ছাত্র পরিষদসহ বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ‘গো-ব্যাক’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, জুলাই গণহত্যার সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর ছিলেন। তারা বলেন, তিনি স্বৈরাচারী হাসিনার সকল অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন করে জুলাই গণহত্যার বৈধতা দিয়েছেন।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের কড়া বক্তব্য
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, “চুপ্পুর শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানানো নিছক ভণ্ডামী। তিনি শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে জুলাই বিপ্লবের সময় গণহত্যার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট সরকারের শপথ পড়িয়ে, তার সব অবৈধ কার্যক্রমকে অনুমোদন দিয়েছিলেন। চুপ্পুর সামনে একমাত্র পথ হলো পদত্যাগ ও বিচারের মুখোমুখি হওয়া।”
সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ জুলাই গণহত্যার শহীদদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের করে। তারা একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের শ্রদ্ধা নিবেদন
রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানগণও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।