সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে বর্তমানে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা রয়েছে। একই দিনে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন আদালত।
আদালতের নির্দেশনা
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান আদালতে দীপু মনির ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন। একইভাবে দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত উভয় আবেদন মঞ্জুর করেন।
দুদকের অনুসন্ধান ও আদালতের পর্যবেক্ষণ
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি তার অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র স্থানান্তর, হস্তান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে। এ কারণে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার ১৬টি ব্যাংক হিসাব অবিলম্বে অবরুদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
দুদকের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দীপু মনির এসব হিসাবে ৩১ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা জমা হয়েছিল। এর মধ্যে তিনি ইতোমধ্যে ২৮ কোটি ৭০ লাখ ৫৫ হাজার ১১৫ টাকা উত্তোলন করেছেন। বর্তমানে ওই হিসাবে মাত্র ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৫০২ টাকা অবশিষ্ট রয়েছে।
গ্রেপ্তার ও মামলার তথ্য
২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে জুলাই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে একাধিক মামলায় তাকে আসামি করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
একই দিনে সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ ও তার স্ত্রী হোসনে আরা বেগমের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে আবেদন করেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন। দুদকের প্রসিকিউটর রুহুল ইসলাম খানের শুনানি শেষে আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে দুদক ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এই মন্ত্রী এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তাই তদন্তের স্বার্থে তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দুদকের অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর কাছে আদালতের নির্দেশনা দ্রুত বাস্তবায়নের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সুত্র : আমারদেশ