যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সুশাসন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সুযোগ বৃদ্ধির জন্য ২০ কোটি ডলার সহায়তা দেবে। এই সহায়তা যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি) এর মাধ্যমে প্রদান করা হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ছয় বছরের জন্য প্রায় ১০০ কোটি ডলারের ডেভেলপমেন্ট অবজেকটিভ গ্রান্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই চুক্তির আওতায় ইতোমধ্যে পাঁচ ধাপে ৪৩ কোটি ডলার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ ধাপের চুক্তি পুনঃনবায়ন করে রবিবার আরও ২০ কোটি ডলার প্রদানের বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, এই অর্থ বাংলাদেশের উন্নয়নমূলক কাজ, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, এবং মানবাধিকার সংরক্ষণে ব্যবহৃত হবে। একই সঙ্গে এই অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে।
এদিকে, মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইমারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন এবং অর্থ উপদেষ্টা মো. সালেহউদ্দিনের সাথে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে তারা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মার্কিন দূতাবাসের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয়, বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মানবাধিকার রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা করা তাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে রয়েছে।