বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে ছাত্র-নাগরিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বলেন, “আমরা দেখেছি ঢাকাতে যখন আন্দোলন বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, তখন চট্টগ্রাম থেকে আপনারা আন্দোলনকে পুনরুজ্জীবিত করেছেন। ওয়াসিমরা কিভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, শান্তরা কিভাবে রক্ত দিয়েছে—এসব আমাদের প্রেরণা দেয়। এখন দেশ পুনর্গঠনের সময়, আমরা একসঙ্গে থাকতে হবে। প্রভু চলে গিয়েছে কিন্তু প্রভুর দাসরা আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে। তারা আমাদের বিভক্ত করার চেষ্টা করবে। আপনাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বীর চট্টলাবাসী সবসময় ধর্মভীরু হলেও তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ধর্মীয় গোঁড়াও হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দাঁড়ি-টুপি থাকলেই তাদের প্রান্তিকীকরণ করা হয়েছে। কিন্তু আন্দোলনের সময় ধর্মের পরিচয় ভুলে আমরা একসঙ্গে ছিলাম। এবারও এমনটাই করতে হবে। ছাত্র আন্দোলন কোনো দলের পুঁজি নয়, এটি ছিল ফ্যাসিজম, দুর্নীতি, অসাম্যের বিরুদ্ধে।”
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হাসনাত বলেন, “আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতা করুন। যদি অফিস-আদালতের কাজ বন্ধ রাখেন, তাহলে আপনাদের রিপ্লেসমেন্টও হয়ে যাবে। পুলিশ বাহিনীর প্রতি বার্তা, ‘আপনারা জনমুখী হন, ক্ষমতামুখী না। বেনজীর এবং ডিবি হারুনের মতো আপনারাও হতে পারেন।’”
তিনি চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা সম্পর্কে বলেন, “বিভাজনের রাজনীতি ফ্যাসিজমের অংশ ছিল। কিন্তু আমাদের একত্রিত হওয়ার উদাহরণ আমরা তৈরি করেছি। মন্দিরে হামলা হলে দাঁড়ি-টুপি পরিহিত ভাইয়েরা সুরক্ষা দিয়েছে। আমাদের প্রথম পরিচয় বাংলাদেশি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ, সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি, মোহাম্মদ আলী, ফজলুল হক শ্রাবণ, রিয়াজুর রহমজান ও পুষ্পিতা নাথসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।