আজ সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে পুলিশের চার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন—পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (ট্যুরিস্ট) মীর রেজাউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক খন্দকার লুৎফুল কবির, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, এবং অপরাধ তদন্ত বিভাগের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক মো. ইমাম হোসেন।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদেরকে ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে অবসর প্রদান করা হলো। এটি একটি বাধ্যতামূলক অবসর এবং জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে নেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে যে, তারা বিদ্যমান বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সমস্ত সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন। তাদের পেনশন, গ্র্যাচুইটি এবং অন্যান্য অবসরকালীন সুবিধা পাবেন নিয়ম অনুযায়ী। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে নির্দিষ্ট কোনো কারণ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি, তবে জনস্বার্থের কথা বলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাসের অংশ হতে পারে।
বাংলাদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসরের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে বিভিন্ন সময় সরকারি কর্মকর্তাদের অবসরে পাঠানো হয়েছে জনস্বার্থে। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নীতি নির্ধারকদের বিবেচনার ভিত্তিতে নেওয়া হয়ে থাকে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই প্রজ্ঞাপনের ফলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে পরিবর্তন আসবে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে নতুন নেতৃত্ব আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
জনস্বার্থে নেওয়া এ ধরনের পদক্ষেপ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপট এবং এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে সাধারণের মধ্যে আলোচনা চলছে।