রাঙ্গামাটির কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি স্পিলওয়ে খুলে দেওয়া হয়েছে, তবে এতে কোনো প্লাবনের আশঙ্কা নেই। টানা বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে পানির স্তর বিপৎসীমায় পৌঁছায়, যার ফলে রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টায় স্পিলওয়ের গেটগুলো ৬ ইঞ্চি করে খোলা হয়। এর ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৯০০০ কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে প্রবাহিত হচ্ছে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭টায় কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা ১০৮.২৭ এমএসএল (মিনস সি লেভেল) রেকর্ড করা হয়, যা বিপৎসীমায় পৌঁছেছে। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। স্পিলওয়ের গেট খুলে দেওয়ার ফলে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। যদি পানির স্তর আরও বেড়ে যায়, তবে গেটগুলোর খোলার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ানো হবে।
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এ টি এম আবদুজ্জাহের জানিয়েছেন, স্পিলওয়ের গেটগুলো খোলা হলেও কোনো এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। পানি ছাড়ার আগে ‘জরুরি বার্তা’ পাঠিয়ে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, রাঙামাটির জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌবাহিনীর কাপ্তাই ও চট্টগ্রাম ঘাঁটি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।