আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এরই মধ্যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং আগামী দুই-এক দিনের মধ্যেই আদেশ জারি করা হবে।
লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে, যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপি ফৌজদারি মামলার আসামি বা যারা ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে পারেন। আদালতের আদেশ ছাড়া তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তার কূটনৈতিক পাসপোর্টের সুবাদে তিনি ভারতের ভিসা ছাড়া ১ মাসেরও বেশি সময় থাকার অধিকার পাবেন, যদি না পাসপোর্ট বাতিল করা হয়। অন্যদিকে, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী হওয়ায়, তিনি ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসার সুবিধা পাচ্ছেন এবং ইচ্ছামতো ভারতে থাকতে পারবেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সাধারণত সংসদের মেয়াদকাল শেষ হলে মন্ত্রী-এমপিদের কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়। তবে, এবার সরকার পাসপোর্ট বাতিলের আদেশ দিলে, তাদের সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে, ফৌজদারি মামলা থাকা ব্যক্তিরা আদালতের অনুমতি ছাড়া সাধারণ পাসপোর্ট পাবেন না।
সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক উল্লেখ করেছেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতাও শেষ হয়ে যায় এবং সাধারণত তখন সেই পাসপোর্ট জমা দিয়ে সাধারণ পাসপোর্ট নেওয়া হয়।