ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে এখনও পড়ে আছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত আটজনের মরদেহ। শনিবার (১৭ আগস্ট) ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বৈষম্যবিরোধী চিকিৎসক ও স্টুডেন্ট পরিষদ দাবি জানিয়েছে যে, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করে মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হোক। একই সঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি বিশেষ ইউনিট তৈরিরও দাবি জানান তারা। এ দাবির প্রেক্ষিতে আন্দোলনের সমন্বয়করা শনিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিদর্শনে যান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেশের ছাত্রসমাজের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। এই আন্দোলনে নিজেদের এক দফা দাবির জন্য প্রাণ দিয়েছেন বহু ছাত্র-জনতা। যারা এই আন্দোলনে বেঁচে গেছেন, তাদের অনেকেই এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন এসব রোগীদের দেখতে যান স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এবং আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
ঢাকা মেডিকেলে আন্দোলনে আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ২২০০ জন রোগী, যাদের মধ্যে এখনো ভর্তি আছেন ১৬৩ জন। এর মধ্যে ৯ জন রোগী জীবন-মরণের সন্ধিক্ষণে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিনামূল্যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
এদিকে, আন্দোলনে নিহত আটজনের মরদেহ এখনও ঢামেক হাসপাতালের মর্গে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। অন্যদিকে, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, তাদের মর্গে থাকা তিনটি অজ্ঞাতনামা লাশের মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। আন্দোলনের সমন্বয়করা নিহতদের মরদেহ দ্রুত শনাক্ত করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের দাবি জানান।