বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে নতুন চারজন উপদেষ্টা যুক্ত হচ্ছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন এই সরকারে তাদের অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের শপথ পাঠের মাধ্যমে। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে শপথ অনুষ্ঠানের জন্য পাঁচটি গাড়ি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে, যা নতুন উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
নতুন যে চারজন উপদেষ্টা অন্তর্ভুক্ত হচ্ছেন তারা হলেন- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা পাওয়ার পর থেকেই এই শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
গত ৮ আগস্ট রাতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যা দেশে ও বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। বঙ্গভবনের দরবার হলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ বাক্য পাঠ করান। একই অনুষ্ঠানে আরও ১৩ জন উপদেষ্টা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শপথ গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ১১ ও ১৩ আগস্ট আরও তিনজন উপদেষ্টা শপথ গ্রহণ করেন, যা পরিষদের সদস্য সংখ্যা ১৭ থেকে ২০-এ উন্নীত করে।
নতুন চারজন উপদেষ্টা যুক্ত হলে সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা হবে ২১। এই নতুন সদস্যরা হলেন দেশের প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, যারা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তাদের যুক্ত হওয়া দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা ও প্রভাব আরও বৃদ্ধি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা এবং আসন্ন নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করা। তাদের কাজ হবে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর নজর রাখা, প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার এখন দেশ-বিদেশে নজর কাড়ছে। তাদের নেতৃত্বে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে উন্নতি করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
নতুন উপদেষ্টাদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্ষমতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই সরকার এখন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছে এবং জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।