বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘিরে বড় ধরনের পটপরিবর্তনের খবর পাওয়া গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এই পদত্যাগের পর বাংলাদেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এই পরিবর্তনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবেই হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন, তবে এই দাবিকে কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে স্পষ্টভাবে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ঘটনার সাথে কোনোভাবেই জড়িত ছিল না। তিনি আরও জানান, যদি এমন কোনো প্রতিবেদন বা গুজব ছড়ানো হয়ে থাকে যে যুক্তরাষ্ট্র এই ঘটনায় সম্পৃক্ত, তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ভারতের ইকোনমিক টাইমস একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায় এবং এই কারণেই তারা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ভূমিকা পালন করেছে। তবে এই দাবি হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে এক পোস্টে স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, শেখ হাসিনা কখনোই এমন কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলাদেশের বর্তমান এই রাজনৈতিক সংকট দেশটির জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এই পরিবর্তন যে শুধু বাংলাদেশে নয়, বরং আন্তর্জাতিক মহলেও প্রভাব ফেলেছে তা স্পষ্ট। ভারতের আশ্রয়ে থাকা শেখ হাসিনার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম কীভাবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে তা এখন দেখার বিষয়।
এই ঘটনায় দেশের ভেতরে ও বাইরে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে এবং বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ঘটনার সাথে কোনো সম্পর্ক থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে, তবুও এ নিয়ে বিতর্ক থামছে না। দেশটির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের এই পরিবর্তন ভবিষ্যতে কী প্রভাব ফেলবে তা সময়ই বলে দেবে।