শিক্ষক ও নাগরিক সমাজের ডাকা ‘দ্রোহযাত্রা’তে কয়েক হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। যাত্রাটি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর ও টিএসসি হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দ্রোহযাত্রায় অংশগ্রহণকারীরা নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, দ্রোহযাত্রায় অংশ নিতে বেলা তিনটার আগেই জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানুষেরা জড়ো হতে শুরু করেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
যাত্রার শুরুতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, তাঁদের এখন একটাই দাবি, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারের কাছে আর কোনো দাবি নেই, তবে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ বিচারসহ অনেক বিচার বাকি রয়েছে।
আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, এখন প্রধান আলোচ্য বিষয় হলো বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে হবে।
বেলা সাড়ে তিনটায় দ্রোহযাত্রাটি শুরু হয় এবং বিকেল সোয়া চারটায় এটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌঁছায়। যাত্রায় জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, আসিফ নজরুল, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দ্রোহযাত্রা শেষে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, গণগ্রেপ্তার বন্ধ করতে হবে, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। রোববারের মধ্যে কারফিউ তুলে নিতে হবে এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে। রোববারের মধ্যে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এসব দাবি পূরণ না হলে রোববার বেলা তিনটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিল শুরু হবে।
রাজধানী ও বিভিন্ন জেলায় আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।