সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর ২৭ কোটির অবৈধ সম্পদ জব্দ

মোঃ মাহবুবুল আলম 54 বার পঠিত
সময় : মঙ্গলবার, জুলাই ২, ২০২৪

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শামসুদ্দোহার এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২১ কোটি ও ২৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তারা তাদের আয়ের উৎসের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন। তদন্তে দেখা গেছে, তাদের সম্পদ অর্জনের কোনো বৈধ উৎস নেই এবং তারা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই সম্পদ সংগ্রহ করেছেন। আদালত এই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আজ মঙ্গলবার এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্র জানিয়েছে, তাঁরা দুজনেই জামিনে আছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানা খন্দকারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে। আজ মঙ্গলবার, ঢাকা মহানগর বিশেষ জজ আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, শামসুদ্দোহা খন্দকার ও তার স্ত্রী বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। দুদকের একটি সূত্র অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ২০১৯ সালের ২১জানুয়ারি, শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম আজ আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, শামসুদ্দোহা খন্দকারের বিরুদ্ধে ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকার অবৈধ আয়ের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে দুদক। এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৩৮৩ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্যদিকে, ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ফেরদৌসী সুলতানা গৃহিণী এবং তার আয়ের কোনো বৈধ উৎস নেই।

শামসুদ্দোহা খন্দকার ২০১১ সালের ১১ অক্টোবর বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেন। দায়িত্ব পালনের সময় তার বিরুদ্ধে সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ ওঠে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর আগে তিনি পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

নিউজ র্সোস : প্রথম আলো


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরও খবর

পুরাতন খবর

এক ক্লিকে বিভাগের খবর