২০২৪ সালে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি/আলিম/এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল)/ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষায় মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ২ হাজার ৭২৫টি এবং মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ৯১,৪৪৮ জন। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২৯৪টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি।
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ও নকলমুক্ত পরিবেশে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণের লক্ষ্যে ২৯ জুন থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। এছাড়া, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়:
১. পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে দেরি হলে তাদের নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি রেজিস্টারে লিখে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।
2. পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেয়া হবে।
3. ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধুমাত্র ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন।
4. পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
শিক্ষামন্ত্রণালয় বিশেষ সক্ষম (ডিফারেন্টলি অ্যাবল) পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, সেরিব্রালপালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থীরা স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এছাড়া, এই ধরনের পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় এবং অটিস্টিক, ডাউনসিন্ড্রম, সেরিব্রালপালসি আক্রান্ত পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে এবং শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহযোগিতায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে।