২০২৪ সালের জুন শেষে দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। এটি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণের রেকর্ড। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ বিবরণী অনুযায়ী, মার্চ প্রান্তিকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা ওই সময়ের মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
২০২৪ সালের জুন মাস শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৮৩ হাজার ৩৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপিতে পরিণত হয়েছে ২ লাখ ১১ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এই সময়ে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও খেলাপি ঋণের হার অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে খেলাপিদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হলেও বাংলাদেশ ব্যাংক এ ঋণের লাগাম টানতে ব্যর্থ হয়েছে।
তিন মাস আগে, ২০২৪ সালের মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তখন খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা, যা মোট বিতরণ করা ঋণের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ ২৯ হাজার ৯৬ কোটি টাকা বেড়ে মোট ঋণের ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে পৌঁছেছে। খেলাপি ঋণের এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি দেশের ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য হুমকি স্বরূপ, যা ঋণ ব্যবস্থাপনায় আরও কঠোর মনোযোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।