রোববার রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে আহত পুলিশ সদস্যদের দেখতে গিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, কাজ না করলে পুলিশ সদস্যদের পলাতক ঘোষণা করা হবে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান, নির্দিষ্ট একটি তারিখ নির্ধারণ করা হবে, যার মধ্যে যদি পুলিশ সদস্যরা কাজে ফিরে না আসেন, তাহলে তাদের পলাতক হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এম সাখাওয়াত হোসেন আরও উল্লেখ করেন যে, “আমার কাছে অনেক ম্যাকানিজম আছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘাটতি পূরণের অনেক ম্যাকানিজম আছে। আমি উল্লেখ করতে চায় না।” এর মাধ্যমে তিনি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতার কথা জানান।
তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বলেন যে, পুলিশকে অতীতে লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, আগামী সাত দিনের মধ্যে পুলিশে প্রশিক্ষিত মানবসম্পদ যোগ হবে। পুলিশের গুরুত্ব সম্পর্কে তিনি বলেন, “পুলিশ ছাড়া সমাজ চলতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “আমি প্রতিদিন খবর পাচ্ছি লুট হচ্ছে। সেনাবাহিনী-বিজিবি কাজ করছে, তবে এটা তাদের কাজ না। পুলিশের কাজ সেনাবাহিনী করতে পারে না। তবুও সেনাবাহিনী করছে।”
এম সাখাওয়াত হোসেন রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিমালা নিয়ে বলেন, “একজনের ইচ্ছামতো একটি রাষ্ট্র চালানো যায় না।” বঙ্গবন্ধুর অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিল ঠিকই, কিন্তু হাজার হাজার মানুষ যুদ্ধ করে ৩০ লাখ মানুষ শহীদের বিনিময়ে এ রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছে। এ রাষ্ট্র কারো ব্যক্তিগত সম্পদ না। কারো পারিবারিক সম্পদ না।” এর মাধ্যমে তিনি রাষ্ট্রের মালিকানা জনগণের উপর ন্যস্ত বলে নিশ্চিত করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এই কঠোর অবস্থান পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং পুলিশের দায়িত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে তাগিদ দিচ্ছে। এম সাখাওয়াত হোসেনের বক্তব্যে পুলিশের দ্রুত কাজে ফেরার আহ্বান এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সরকারের দৃঢ় অবস্থান স্পষ্ট। পুলিশ সদস্যদের দ্রুত কাজে ফেরার মাধ্যমে তারা পুনরায় জনগণের সেবা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম হবেন, যা দেশ ও সমাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সেনাবাহিনী ও বিজিবির সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুলিশ বাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত ভূমিকা অপরিহার্য, এবং তাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন এ সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে।